পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে চীনের সেনাবাহিনী সরে গেলেও, সীমান্ত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের শঙ্কা এখনও রয়ে গেছে। পিছু হটলেও বেইজিং তার শক্তি বাড়াতে কাজ করে যাবে। এতে কপালে ভাঁজ থাকা ভারত, আবারো আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে বৈঠকের পর বেইজিং-নয়াদিল্লি উত্তেজনা কিছুটা কমে এলেও, থেমে নেই আলোচনা। ভারত এখনও মনে করে চীন পাল্টা আক্রমণ করতে পারে। তাই নজরদারি বজায় রেখেছে মোদি প্রশাসন। এ সপ্তাহেই দ্বিতীয় বৈঠকও চাইছে দেশটি।
বিশ্লেষকরাও বলছেন, সংঘর্ষের বিষয়টি এখনই উড়িয়ে দেয়া যায় না। নয়াদিল্লি যে ভয় পেয়েছে সে কথাও বলা যায় না, কারণ ভারত একা দুর্বল হলেও তার মিত্ররা অনেক শক্তিশালী।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পরই বিশ্বে চীন সামরিক খাতে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। এর পরেই রয়েছে ভারত। তবে প্রতিরক্ষা বাজেট ও বেশ কিছু সামরিক শ্রেণীবিভাগে মার্কিনদের পরই চীনাদের অবস্থান।
পরমাণু অস্ত্রের দিক দিয়েও অনেক এগিয়ে চীন। দেশটির পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সংখ্যা অন্তত ৩২০টি। অন্যদিকে, ভারতের আছে কেবল ১৫০টি।